আমরা অনেকেই কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কিনতে চাই কিন্তু কিভাবে কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কিনতে হবে তা জানি না। আপনি যদি কিস্তিতে ওয়ালটন থেকে মোবাইল কিনতে চান, তাহলে শর্তাবলী কী এবং কী কী কাগজপত্র প্রয়োজন তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি ওয়ালটন প্লাজা এবং ওয়ালটন আউটলেট থেকে সহজ কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কিনতে পারেন। নগদ কিস্তি সুবিধা শুধুমাত্র সকল ওয়ালটন প্লাজায় পাওয়া যায়। তাছাড়া, যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা এবং ওয়ালটন ব্র্যান্ডের আউটলেট থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধাও পাওয়া যায়।আসুন জেনে নিন ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম:
কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কেনার শর্তাবলী
ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে মোবাইল কেনার কিছু শর্ত রয়েছে, যেমন,
১০,০০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের স্মার্টফোন কেনার জন্য ইএমআই সুবিধা পাওয়া যায়।
নগদ কিস্তিতে নেওয়ার ক্ষেত্রে, আপনাকে কিস্তি মূল্যের ৪০% ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে এবং বাকি টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
আপনার ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
২ জন জামিনদারের ফটোকপি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র
অন্যান্য সমস্ত কাগজপত্রের সাথে আপনাকে নির্ধারিত ফর্ম পূরণ করতে হবে।
ক্রেতা যদি কোনও ধরণের নিয়ম বহিভূত কার্যকলাপ করেন, তাহলে প্লাজা ম্যানেজারের সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে গৃহীত হবে।
ওয়ালটন মোবাইল কিস্তিতে কেনার নিয়ম
আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে চান, তাহলে প্রথমে আপনার নিকটতম ওয়ালটন শোরুম বা ওয়ালটন প্লাজায় যোগাযোগ করুন। তারপর আপনার পরিবারের দুজন সদস্যকে, যেমন বাবা, ভাই, বোনকে নিয়ে যান। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনার সাথে নিন।
তারপর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং একজন মনোনীত ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করুন। এছাড়াও, আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের একটি ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপনার সাথে নিতে হবে। তারপর ওয়ালটন প্লাজায় যান এবং আপনার পছন্দের মোরাইল ফোনটি নির্বাচন করুন।
সেখানে কর্তব্যরত অফিসারকে বলুন, “ভাই, আমি কিস্তিতে ওই মোবাইল ফোনটি নিতে চাই।” তারপর তিনি আপনাকে বলবেন যে আপনি এত % ডাউন পেমেন্ট দিয়ে একটি মোবাইল ফোন নিতে পারেন। অর্থাৎ, আপনাকে শুরুতেই এই পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে। তিনি যেমন বলেন, অগ্রিম হিসাবে টাকা জমা দিন। তারপর তিনি আপনাকে যা যা দিতে বলবেন তা দিন।
কিস্তির কাগজে আপনার স্বাক্ষর, দুজন জামিনদারের স্বাক্ষর এবং তাদের কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে একটি মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। এরপর থেকে, মাসের পরের দিন যেদিন আপনি মোবাইল ফোনটি নিয়েছেন সেদিন থেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট অথবা নগদের মাধ্যমে এই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন :waltonbd.com
শেষ কথা:
এই পোস্টটি হতে আমরা জানতে পারলাম সহজ কিছু শর্তাবলী অনুসরণ করে আমরা কিস্তিতেও ওয়ালটন মোবাইল কিনতে পারি।
আশা করি আপনি আমার এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনার এই পোস্টটি ভালো লাগে, তাহলে দয়া করে এটি আপনার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং অন্যদের সাথে শেয়ার করুন যাতে তারাও এটি পড়ে উপকৃত হতে পারে। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন :ঢাকা টু কক্সবাজার ট্রেন ভাড়া ২০২৫ -সময়সূচি, টিকেট মূল্য সহ সকল তথ্য