বনফুল মিষ্টির দাম, আসসালামুআলাইকুম, প্রিয় পাঠক-পাঠিকা। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদেরকে মিষ্টির দাম কত? সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারনা দিব। অনেকেই বনফুল মিষ্টির দাম জানতে চায়, পাশাপাশি ফুলকলি মিষ্টির দাম জানতে চায়।
তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি। এছাড়াও আমি আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব মিষ্টির উপকারিতা সম্পর্কে এবং মিষ্টি খেলে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে, হতে পারে! সে সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। তাই আমি আশা করছি আপনারা সম্পুর্ন পোস্ট ধৈর্য সহকারে পড়বেন। এতে লাভ আপনারই হবে।
আরও পড়ুনঃ
মিষ্টি নাম:-
বাংলাদেশ অনেক রকম মিষ্টি রয়েছে। কিন্তু আমরা সেগুলোর নাম সঠিকভাবে জানিনা। মিষ্টির দাম জানতে গেলে! আপনাকে সর্বপ্রথম মিষ্টির নাম সম্পর্কে জানতে হবে। তাই আমি নিচে মিষ্টির নাম সম্পর্কে একটি ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে মিষ্টি কেনার সময়।
নানান রকমের মিষ্টি:-
- কাঁচাগোল্লা,
- মালাইকারি,
- মতিচুর লাড্ডু,
- আমৃতি,
- মন্ডা,
- বুড়িদান
- ছানামুখী,
- সন্দেশ,
- চমচম,
- কালোজাম,
- রাজ ভোগ,
- রসগোল্লা,
- প্রাণহরা,
- ছানা মুখী।
বাংলাদেশের মিষ্টির নাম:-
- তুশা সিন্নি,
- সীতাভোগ,
- শাহী জিলাপি,
- শোর ভজা,
- সন্দেশ,
- রসমালাই,
- রসগোল্লা,
- রাজভোগ,
- পিঠা,
- পাটিসাপটা,
- মিহিদানা,
- মিষ্টি দই,
- ল্যাংচা,
- কাঁচা গোল্লা,
- কালোজাম,
- ছানা মুখী,
- চমচম,
- মন্ডা,
- অমৃতি।
আরও পড়ুনঃ
বনফুল মিষ্টির দাম
বর্তমানে বনফুলের সাদা ও কালো এবং লালজাম মিষ্টির কেজি ৩০০ টাকা। যা কিছুদিন আগেও ছিল ২৮০ টাকা করে। এছাড়া চমচমের দাম ৫০০ টাকা কেজি। এবং রসমালাই এর দাম সাড়ে ৪৫০ টাকা কেজি। এর পাশাপাশি কাটারীভোগ ৪৫০ টাকা কেজি এবং কস্তুরী ভোগ ৪৪০ টাকা। রসমঞ্জুরি ৪৩০ টাকা। মিনি চমচম বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা এবং কদম লাড্ডু ৩১০ টাকা ৩১০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা। এবং মাওয়া বালুশাই ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ফুলকলি মিষ্টির দাম
ফুলকলি মিষ্টির দাম বর্তমানে প্রতি কেজি ৪৪০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া চমচমের দাম ৫০০ টাকা কেজি। এবং রসমালাই এর দাম সাড়ে ৪৫০ টাকা কেজি। এর পাশাপাশি কাটারীভোগ ৪৫০ টাকা কেজি এবং কস্তুরী ভোগ ৪৪০ টাকা। রসমঞ্জুরি ৪৩০ টাকা। মিনি চমচকম বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ টাকা এবং কদম লাড্ডু ৩১০ টাকা ৩১০ টাকা থেকে বেড়ে ৩২০ টাকা। এবং মাওয়া বালুশাই ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
ফুলকলি রসমালাই দাম
ফুলকলি রসমালাই এক কেজির দাম ৮০০ টাকা। যা গত মাসেও দাম ছিল ৬৯০ টাকা। সেখানে এখন দাম বেড়ে ৮০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। যা সাধারণ মানুষের পক্ষে কিনে খাওয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মধুবন মিষ্টির দাম
এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার মিষ্টির দাম ৫০ থেকে প্রায় ১০০ টাকা বাড়িয়েছে প্রত্যেকটি দোকান। সাধারণ রসগুল্লা ও সাদা কালো মিষ্টির দাম বর্তমানে ৫০০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে এবং চমচম হাউসে টাঙ্গাইলের চমচম ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে। যা আগে ছিল ৩৫০ টাকা করে প্রতি কেজি। তাহলে বোঝা যাচ্ছে প্রতি কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা দাম বেড়েছে।
বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার মিষ্টির দাম
বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে কালোজাম বিক্রি করা হচ্ছে ২১০ টাকা। মতিচুর লাড্ডু বিক্রি করা হচ্ছে ২৬০ টাকা। পাশাপাশি রসমালাই ৩৪০ টাকা। সাদা রসগোল্লা ২১০ টাকা এবং ছানা বারফি ৩৬০ টাকা ও দই বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।রসকদম 500 গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। লাচ্ছি চমচম ৩২০ টাকা।
কালোজাম ২১০ টাকা কাঁচা ছানা ৩৯০ টাকা লালমোহন ২২০ টাকা। গোলাপজাম ২৫০ টাকা। কাঁচাগোল্লা ৩৫০ টাকা। লাল চমচম ২৬০ টাকা। সন্দেশ ৩২০ টাকা।
কালোজাম মিষ্টির দাম
বর্তমানে এক কেজি দেশীয় কালোজাম মিষ্টির দাম ৩৫০ টাকা যা কিছুদিন আগেই ২৫০ টাকা ছিল কিন্তু এখন ১০০ টাকা দাম বেড়ে ৩৫০ টাকা হয়েছে।
স্পঞ্জ মিষ্টি দাম
স্পন্স মিষ্টির দাম ৪০০ টাকা প্রতি কেজি। এর দাম গত এক সপ্তাহ আগেই ছিল ৩৫০ টাকা। বর্তমানে ৫০ টাকা দাম বেড়ে ৪০০ টাকা হয়েছে।
ছানার মিষ্টি দাম
ছানা মিষ্টি এক এক দোকানে একেকরকম দামে বিক্রি করা হয়। তবে সম্ভাব্য একটি দাম হল ৪৫০ টাকা। এর পাশাপাশি মিষ্টি দই ২৩০ টাকা টকদই ১২০ টাকা সাদা চমচম ৩২০ টাকা ল্যাংচা ৩২০ টাকা। বালুসাই ২৬০ টাকা। মতিচুর লাড্ডু ২২০ টাকা এবং জলি পেড়া ৩৫০ টাকা।
রসের মিষ্টি দাম
রসে ডোবানো মিষ্টি অনেকেরই পছন্দ। তবে রসে ডোবানো মিষ্টির দাম অনেকেই জানেন না। রসে ডোবানো মিষ্টির সাদা কালারের নাম ২২০ টাকা এবং কালো কালারের দাম ২৪০ টাকা।
মিষ্টির মূল্য তালিকা ২০২৩
মিষ্টির মূল্য তালিকা ২০২৩
মিষ্টির নাম: মূল্য:
কাঁচাগোল্লা ৪৫০ টাকা
লালজাম ৩০০ টাকা।
চমচম ৫০০ টাকা
রসমালাই ৪৫০ টাকা।
কাটারীভোগ ৪৫০ টাকা।
কস্তুরী ভোগ ৪৪০ টাকা।
রসমঞ্জুরি ৪৩০ টাকা।
মিনি চমচম ৪৪০ টাকা।
কদম লাড্ডু ৩২০ টাকা।
মাওয়া বালুশাই ৩০০ টাকা।
ফুলকলি রসমালাই ৮০০ টাকা।
বনফুল মিষ্টি ৩০০ টাকা।
মধুবন মিষ্টি ৬০০ টাকা।
লাচ্ছি চমচম ৩২০ টাকা।
স্পঞ্জ মিষ্টি ৪০০ টাকা।
মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা
মিষ্টি খাওয়ার কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেমন প্রতিদিন রাতে খাওয়ার পর একটু মিষ্টি খেলে ব্লাড প্রেসার কমে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন একটি করে মিষ্টি খেলে কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। শরীরের ভেতরে এসিড ক্ষরণ এর পরিমাণ কমে যায় ফলে হজম ভালো হয়।
মিষ্টিতে সাধারণত দুধ ছানা ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়ে থাকে। আর এসব দুধ ছানা আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে 186 কিলোক্যালরি শক্তি থাকে। 100 গ্রাম রসগোল্লার মধ্যে ১৫৩ কিলো ক্যালরি শক্তি থাকে যা তাৎক্ষণিকভাবে শরীরের শক্তি যোগায়। বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে শর্করা অনেক সাহায্য করে। আর মিষ্টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে শর্করা রয়েছে।
যার ফলে বয়স্ক মানুষের যেমন স্মৃতিশক্তি বাড়ে, পাশাপাশি অনেক কঠিন কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন রাতে খাবার পরে একটি করে মিষ্টি খেলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত খাওয়া কোন কিছুই ভালো নয়। এটাই সব সময় মনে রাখতে হবে সব কিছুর লিমিট এর মধ্যে খেলে যে কোন কিছুর উপকারিতা পাওয়া যাবে।
মিষ্টি খাওয়ার অপকারিতা
মিষ্টি খাবার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি উপকারিতাও রয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেলে শরীরের মধ্যে লিপোপ্রোটিন নামে একটি হরমোন তৈরি হয়। যা শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়। খুব বেশি পরিমাণে মিষ্টি খেলে ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় এর ফলে হার্ট এটাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য মিষ্টি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারন মিষ্টি খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
মিষ্টির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সুগার রয়েছে যে সুগার একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খারাপ কোলেস্টেরল তৈরিতে অনেক ভূমিকা তৈরি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল মানুষের শরীরের জন্য ভালো নয়।
আরও পড়ুনঃ
{FAQ}
রাতে মিষ্টি খেলে কি হয়?
রাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস করলে পেটে এক ধরনের এসিড নিঃসৃত হয়। এই এসিড বুক জ্বালাপোড়ার মত সমস্যার জন্ম দেয় এবং গ্যাস পেট ফাঁপা বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।
মিষ্টি খেলে কি ওজন বাড়ে?
মিষ্টি হল শর্করা জাতীয় খাদ্য যা ওজন বাড়াতে সহজ করে। এছাড়াও এগুলো উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার তাই নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরী।
মিষ্টি খেলে কি ক্ষতি হয়?
সাধারণভাবে মিষ্টি খাওয়া কোন ক্ষতির কারণ নয় তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের জন্য মিষ্টি জাতীয় হওয়া উচিত নয়।
প্রতিদিন মিষ্টি খেলে কি হয়?
প্রতিদিন অভ্যাস করে মিষ্টি খেলে এক ধরনের বিশেষ অ্যাসিড তৈরি হয় যে সিটগুলো বদহজম বুকে জ্বালা পোড়ার মত সমস্যার সৃষ্টি করে। এছাড়াও প্রতিদিন মিষ্টি খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায় কারণ মিষ্টির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
মিষ্টি খেলে কি ডায়াবেটিস হয়?
অনেকেরই ভুল ধারণা থাকে যে মিষ্টি খেলে কি ডায়াবেটিস হয় আসলে মিষ্টি খেলে কোন রকম ডায়াবেটিস হয় না বা মিষ্টি সাথে ডায়াবেটিকসের সরাসরি কোনো সুযোগ নেই তবে অতিরিক্ত খেলে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাই অতিরিক্ত না খাওয়াটাই ভালো।
মিষ্টি খেলে কি গ্যাস হয়?
হ্যা। মিষ্টি খেলে গ্যাস হয়। কারণ মিষ্টি খাওয়ার পর শরীরের মধ্যে এক ধরনের এসিড তৈরি হয়। এসিড বদহজম মুখে টক টক ভাব বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শেষ কথাঃ-
বনফুল মিষ্টির দাম, সম্পর্কে আশা করছি আপনারা ভালো রকমের একটি ধারণা পেয়েছেন। এর পাশাপাশি বাংলাদেশে মিষ্টির নাম মূল্য তালিকা মিষ্টির ছবি এবং মিষ্টি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। পাশাপাশি আপনাদের মনের মধ্যে জন্ম নেওয়া কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এতে করে আপনার কিছুটা উপকার হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি আর আপনি। যদি এতোটুকু উপকৃত হয়ে থাকেন!
তাহলে অবশ্যই আমাকে একটি কমেন্ট করে আপনার মূল্যবান মতামত জানিয়ে দিতে ভুলবেন না। আর আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকবেন এরকম নতুন নতুন প্রোডাক্ট এর দাম সম্পর্কে জানার জন্য এবং টেকনোলজি বিষয় জানার জন্য। ধন্যবাদ সবাইকে।